Event & News

মেডিকেল ভেন্টিলেটর মেশিন উদ্ভাবন

ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজে’র প্রফেসর ড. মোঃ সৈয়দ আলী মোল্লা কর্তৃক স্বল্পমূল্যে উন্নত মানের আই.সি.ইউ তে ব্যবহার উপযোগী মেডিকেল ভেন্টিলেটর মেশিন উদ্ভাবন।
করোনা, নিউমোনিয়া ও শ্বাসতন্ত্রেও জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য অপরিহার্য যন্ত্রের নাম মেডিকেল ভেন্টিলেটর মেশিন। করোনা মহামারীর সময়ে পুরো বিশ্বজুড়ে ভেন্টিলেটর মেশিনের ব্যবহার ও চাহিদা বেড়ে যায়। বাংলাদেশে প্রতি ৩,৫০,০০০ মানুষের জন্য একটি মাত্র ভেন্টিলেটর মেশিন রয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য এবং এর আমদানী ব্যায়ও অনেক।
করোনা, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য কারণে যখন স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয় তখন ভেন্টিলেটর এর সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে রোগীকে শ্বাসতন্ত্রে পরিমিত মাপে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় এবং শ্বাসতন্ত্র থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করা হয়। সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তে শ্বাসতন্ত্রের রোগী দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতালী, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ব্রাজিল সহ সকল উন্নত ও অনুন্নত দেশে ভেন্টিলেটর এর অভাব দেখা যায় ও বহু মানুষ ভেন্টিলেটর এর চিকিৎসা না পেয়ে মারা যায়।
দেশে ও বিদেশে ভেন্টিলেটর এর অভাব ও ইহার জন্য করোনা আক্রান্ত রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছে না দেখে ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের সার্বিক সহযোগিতায় প্রফেসর ড. সৈয়দ আলি মোল্লা ভেন্টিলেটর তৈরির জন্য উদ্দ্যেগী হন। প্রথমে শ্বাসতন্ত্র চালাবার জন্য যে সকল লজিক প্রয়োজন তাহা বিশ্লেষণ করে প্রোগ্রাম তৈরি করেন। প্রোগ্রাম শেষ হওয়ায় যন্ত্রপাতি ক্রয় করে একটি ভেন্টিলেটর উদ্ভাবন করেন। দীর্ঘ চেষ্টার পর যথাযথ পরীক্ষা নিরিক্ষা ও সংশোধনী শেষে ব্যবহার উপযোগী একটি মেডিকেল ভেন্টিলেটর উদ্ভাবন করেন। দেশি-বিদেশি যন্ত্রাংশ ও নিজস্ব প্রোগ্রাম দিয়ে এই যন্ত্রটি পরিচালিত হবে এবং স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের সেবা দিতে পারবে বলে তিনি আশা করেন।
প্রফেসর ড. মোঃ সৈদয় আলী মোল্লা জানান তার উদ্ভাবিত এই ভেন্টিলেটর স্বল্প মূল্যে উৎপদন করা যাবে। একটি ভেন্টিলেটর তৈরিতে সর্বোচ্চ ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। তবে একসাথে একাধিক ভেন্টিলেটর অর্ডার করলে অর্থাৎ ১০-১৫টি সেক্ষেত্রে ৩০,০০০-৩৫,০০০ টাকায় প্রতি ভেন্টিলেটর উৎপাদন সম্ভব হবে।
ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ (ইউজিবি) কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত ট্রাস্টি এড. মোঃ আফজাল হোসেন, বিওটির চেয়ারম্যান ড. মোঃ ইমরান চৌধুরী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সৈয়দ আলী মোল্লা, রেজিস্ট্রারার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ লোকমান খান ও শিক্ষক মন্ডলী।